পোর্টেবল এআই ল্যাপটপে গেমিং : আসুস টাফ গেমিং এ১৪ এবং এ১৬
- আহমেদ ইফতেখার
- ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
গেইমারদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো ল্যাপটপে একই সাথে ভালো পারফরম্যান্স, পাওয়ার এবং পোর্টবিলিটি খুঁজে পাওয়া। অনেক সময় ক্লাউড পরিষেবার ওপর নির্ভরশীলতাও ল্যাপটপের গতি কমিয়ে আনে এবং খরচও বৃদ্ধি করে। গতানুগতিক গেমিং ল্যাপটপগুলোর ক্ষেত্রেও দেখা যায় সেগুলো ওজনে ভারী ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্যও উপযোগী নয়।
এমন সব সমস্যার সমাধান হলো আসুসের টাফ গেমিং এ১৪ এবং টাফ এ১৬ ল্যাপটপ দু’টি। পাওয়ারফুল এআই প্রসেসর এবং কার্যকরী কুলিং সিস্টেমে এই গেমিং ল্যাপটপগুলো যেমন শক্তিশালী তেমনি হাই-অ্যান্ড গেমিংয়ের ক্ষেত্রেও দেয় দারুণ পারফরম্যান্স। ল্যাপটপ দু’টিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সর্বশেষ এএমডি রাইজেন ৯ এআই এইচএক্স ৩৭০ প্রসেসর। বাংলাদেশে আসুস টাফ গেমিং এ১৪ (২০২৪) এর মূল্য ২ লাখ ৪২ হাজার টাকা এবং আসুস টাফ গেমিং এ১৬ (২০২৪) এর মূল্য হলো ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
প্রসেসর
আসুস টাফ গেমিং এ১৪ এবং এ১৬-এর মূলশক্তি হলো এএমডি-এর প্রসেসর রাইজেন ৯ এআই এইচএক্স ৩৭০। এই ল্যাপটপগুলোতে রয়েছে ১২টি কোর, ২৪টি থ্রেড, এবং ৫০টি এআই পারফরম্যান্স সক্ষম ইন্টিগ্রেটেড নিউরাল প্রোসেসিং ইউনিট (এনপিইউ)। রিয়েল-টাইম সাবটাইটেল তৈরি, ই-মেইল লেখা, এমনকি ভুলত্রুটিও সহজে সমাধান করতে সক্ষম এই এনপিইউ। গেমিং থেকে শুরু করে প্রোডাকটিভিটির বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য এআই পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে ল্যাপটপ দু’টির প্রসেসর। এ ধরনের এআই সক্ষমতা থাকায় ল্যাপটপে ক্লাউড প্রসেসিংয়ের প্রয়োজন কমে যায়। ফলে ল্যাপটপের পারফরম্যান্স হয় আরও দ্রুত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী।
জিপিইউ
আসুস টাফ গেমিং এ১৪ এবং এ১৬ মডেলগুলোতে আছে এনভিডিয়া আরটিএক্স ৪০৬০ এবং আরটিএক্স ৪০৭০ জিপিইউ। অসাধারণ ভিজ্যুয়ালের সাথে আল্ট্রা সেটিংসেও দেয় স্মুথ ও ল্যাগ-ফ্রি এক্সপেরিয়েন্স। ৫০০টিরও বেশি এআই-চালিত গেইম এবং অ্যাপ্লিকেশনের সাপোর্ট করে এই জিপিউগুলো। এমনকি ছবি ও ভিডিও এডিটিং, ইমেজ জেনারেশন এবং প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করে দারুণ পারফরম্যান্স। এছাড়া, ল্যাপটপের ডিএলএসএস সুপার রেসোলিউশন, ফ্রেম জেনারেশন এবং রে-রিকন্সস্ট্রাকশনের মতো ফিচারগুলো গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরও স্বচ্ছ এবং দ্রুত রেসপন্সিভ।
পোর্টেবল ও পাওয়ারফুল
প্রথমবারের মতো, আসুসের টাফ গেমিং লাইনআপে ১৪-ইঞ্চি ফর্ম ফ্যাক্টর যুক্ত হয়েছে। টাফ গেমিং এ১৪ ওজনে মাত্র ১.৪৬ কেজি এবং এর পুরুত্ব মাত্র ১.৬৯ সেন্টিমিটার। তাই সহজেই এটি বহন করা যায়। অন্যদিকে, টাফ গেমিং এ১৬ মডেলটি এ১৪ থেকে সামান্য ভারী। এ১৬ ওজনে ২.২ কেজি। তবে এর স্ক্রিন সাইজে বড় এবং আরও বেশি কানেক্টিভিটির সুবিধা দেয়। মাত্র ১.৭৯ সেন্টিমিটার পাতলা এবং আকর্ষণীয় ১৬-ইঞ্চি চেসিসে এই ডিভাইসটি ডিজাইন করা হয়েছে। এআই এবং গেমিং পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের দিবে সর্বোচ্চ ইউজার এক্সপেরিয়েন্স।
ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় প্রায় সব ল্যাপটপই গরম হয়ে যায়। আসুসের টাফ গেমিং এ১৪ এবং এ১৬ ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক কুলিং সিস্টেম। তাই দীর্ঘ সময় ধরে গেম খেললেও ডিভাইসগুলো ঠাণ্ডা থাকে। বিশেষ করে এ১৬ মডেলে রয়েছে ফুল-উইডথ হিটসিঙ্ক এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের এআরসি ফ্লো ফ্যান, যা তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমিয়ে আনে এবং স্থিতিশীল পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা